• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫
  • - ৩৩° সে:
Language

বাঁধ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে তাঁরা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ভূতা খাল ও দোগনা খালে অপরিকল্পিত পাঁচটি বাঁধ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় লোকজন ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাঁধ অপসারণের দাবিতে স্থানীয় লোকজন এবং বাঁধ রক্ষার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছেন।গত শনিবার দুপুরে উপজেলার গাজীরহাট বাজারসংলগ্ন ভূতা খালের পাড়ে কয়েক শ গ্রামবাসী খালের বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন। গতকাল রোববার সকালে খালের ভাঙন রোধে বাঁধ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বাদুরা গ্রামের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দুটি পক্ষ বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগের সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন প্রথম আলোকে বলেন, বাঁধ দেওয়ার কারণে খালের স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধের কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দ্রুত বাঁধগুলো অপসারণ করা জরুরি।বাঁধ দেওয়ার কারণে খালের স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধের কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দ্রুত বাঁধগুলো অপসারণ করা জরুরি।লিঙ্কন বায়েন, সমন্বয়কারী, বেলা, বরিশাল বিভাগস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোগনা খালটি বলেশ্বর নদের মঠবাড়িয়ার তুষখালী থেকে শুরু হয়ে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়ায় গিয়ে বিষখালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ খালে দুটি বাঁধ রয়েছে। ২০ বছর আগে দোগনা খালে বাঁধ দিয়ে জলকপাট নির্মাণ করা হয়।এরপর বাঁধটি আর অপসারণ করা হয়নি। সাত বছর আগে দোগনা খালের পাড়ের বাড়িঘরের ভাঙন রোধে আরও একটি বাঁধ দেওয়া হয়। দোগনা খালের শাখা খাল ভূতা খালের বাদুরা বাজার থেকে ভগীরথপুর পর্যন্ত তিনটি বাঁধ রয়েছে। তবে এসব অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে কয়েক শ একর জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে জমিগুলো অনাবাদি থাকছে। সম্প্রতি দোগনা ও ভূতা খালের বাঁধগুলো অপসারণের দাবিতে একটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে ওঠে।অপরদিকে বাদুরা গ্রামের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভাঙনের হাত থেকে মাদ্রাসা ও আশপাশের বাড়ি রক্ষার্থে বাঁধ অপসারণের বিরোধিতা করে আসছেন। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সংসদ সদস্যের সামনে দুই পক্ষ মারমুখী হয়ে ওঠে। সংসদ সদস্য দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বললেও সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেননি।



দর্শনীয় স্থান

  • NO Data Found


মতামত


জেলার ইতিহাস

No History found