প্রতীকী ছবি
সালাম অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা, অভিবাদন, স্বাগতম, দোষ-ত্রুটি মুক্ত, আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি। আল্লাহ তা’য়ালার একটি গুণবাচক নাম সালাম। কারণ, তিনি সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র। সালাম ইসলামের একটি অন্যতম শিয়ার বা নিদর্শন। মুসলমানদের পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যম সালাম বিনিময়।
সালাম দেওয়া সুন্নাত কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। অনেককেই দেখা যায়, সালামের উত্তর দিতে গিয়ে নিরব থাকে। চুপে চুপে নিরবে সালামের উত্তর নিলে কি তা (ওয়াজিব) আদায় হবে? সালামের উত্তর দেওয়া সম্পর্কে ইসলামের বিধানই বা কী?
উচ্চস্বরে, সুন্দরভাবে কোমলকণ্ঠে সালামের উত্তর দেওয়া উত্তম। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি নিরবে চুপে চুপে সালামের উত্তর দেয় তবে সালামের উত্তর দেওয়ার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে এতে সালামের মূল উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয় না। কেননা কোরআন-সুন্নায় সালাম বিনিময় উত্তম ও সুন্দরভাবে দেওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট।
সালাম হলো দোয়া। সালাম দ্বারা বলা হয়- ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক’। সুতরাং সালামের উত্তরও সুন্দরভাবে সালাম প্রদানকারীকে শুনিয়ে তার জন্য এভাবে দোয়া করা যে, আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। হাদিসের নির্দেশনা হলো- সম্ভব হলে সালামের উত্তর আরও বেশি বাড়িয়ে দোয়া করা।
আয়াতের নির্দেশনা অনুযায়ী সালামের উত্তর শুনিয়ে সুন্দরভাবে আরও বাড়িয়ে দেওয়া উত্তম। সম্ভব হলে বেশি দোয়া করা। সম্ভব না হলে যেটুকু সালাম বা দোয়া করা হয় ন্যূনতম ততটুকু উত্তর দেওয়া বা দোয়া করা জরুরি। এতে পরস্পরের আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। শত্রুতা দূর হয়ে যায়। ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সালাম দেয়ার পর শুনিয়ে বাড়িয়ে উত্তম ভাষায় সালামের উত্তর দেয়ার তাওফিক দান করুন। সালাম উত্তরে যথাযথ হক আদায় করার করুন। কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী সালামের উত্তর ও প্রচলন অব্যাহত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
(এই bunonnews.tv ওয়েভ-সাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বে-আইনি)
© 2025, বুনন নিউজ টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT