ফাইল ছবি
পবিত্র ইদুল-আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল আজহা উদযাপিত হবে। রোববার (১০ জুলাই) ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইদুল আজহা উদযাপন করবেন মুসল্লিরা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ইদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করবেন। ইদের খুশি ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক, সেই প্রত্যাশা এবারের ইদে।
বাংলাদেশের আকাশে ৩০ জুন সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে এ দিন নির্ধারিত হয়। এরইমধ্যে পশু কিনে কোরবানির প্রস্তুতি নিয়েছেন মুসল্লিরা।
নবী ইবরাহীম (আ.), তার স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাঈলের ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব ইদুল আজহা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মানুষ পশু কোরবানি দেয়। কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য জমিন হতে বের করেছি, তার অংশ ব্যয় করো,’ (বাক্বারাহ ২৬৭)। এ কোরবানি শুধু পশু কোরবানি নয়, নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, অহংকার কোরবানি করার শিক্ষা দেয়।
কোরবানির পশু কেনার পর্ব শেষ করেছেন অনেকেই। বাকিরা আজ শেষ করবেন। পথের কষ্ট, দুর্ভোগ মাড়িয়ে গ্রামের বাড়ি পৌঁছাও প্রায় শেষ। এবার কোরবানির ইদের সময়ে দেশের একটা অংশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী বন্যায় দুর্গত হয়ে ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের চাপের পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের আক্ষেপও থাকবে সাধারণ মানুষের ইদ আনন্দে।
এদিকে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের ইদযাত্রায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে। অপরদিকে যমুনা নদীর ওপর দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ইদ যাত্রায় উত্তরবঙ্গবাসী যানজট ভোগান্তিতে নাকাল হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ইদ যাত্রার ভোগান্তি নিয়ে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানারকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
(এই bunonnews.tv ওয়েভ-সাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বে-আইনি)
© 2025, বুনন নিউজ টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT