• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫
  • - ৩৩° সে:
Language

রাজস্ব

এনবিআরের তথ্য কালোটাকায় জমি-ফ্ল্যাট ২২৫১ জনের

বুনন নিউজ

শনিবার, ১৩ই আগস্ট ২০২২

ফাইল ছবি

কালোটাকা সাদা করায় সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে তেমন একটা উৎসাহ দেখাননি করদাতারা। গত অর্থবছরে শেয়ারবাজার, জমি-ফ্ল্যাট ক্রয়, ব্যাংকে রাখা অর্থ মিলিয়ে সব ধরনের কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বছর শেষে দেখা গেল, ঢালাও সুযোগ দেওয়ার পরও মাত্র ২ হাজার ৩০০ করদাতা এই সুযোগ নিয়েছেন, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৫ ভাগের ১ ভাগ। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১২ হাজার করদাতা এই সুযোগ নিয়েছিলেন।

গত অর্থবছরে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে সেভাবে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। শুধু তা–ই নয়, কালোটাকা সাদা করলে এনবিআর ছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও জবাবদিহি করতে হবে না, এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়। তারপরও এ সুযোগ নেননি করদাতারা।

গতবার কালোটাকা সাদা করায় উৎসাহ দেখা না যাওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো করহার বাড়ানো। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। বিদায়ী অর্থবছরে ২৫ শতাংশ কর এবং ওই করের ওপর ৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। তাতে সব মিলিয়ে করভার পড়ে ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ কারণে সাড়া কম মিলেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

যে উদ্দেশ্যে এই ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়, বাস্তবে তার সুফল পাওয়া যায় না। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দেওয়া এই ধরনের সুযোগ থেকে প্রাপ্তি যে খুব কম, সেই প্রমাণ মিলল।
ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে উদ্দেশ্যে এই ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়, বাস্তবে তার সুফল পাওয়া যায় না। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দেওয়া এই ধরনের সুযোগ থেকে প্রাপ্তি যে খুব কম, সেই প্রমাণ মিলল। তাঁর মতে, এই ধরনের সুযোগ দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা ও দুর্নীতিতে উৎসাহ দিচ্ছে।