ফাইল ছবি
‘হাওয়া’ ছবি মুক্তির মাস পেরিয়েছে। এখনো দর্শকের চাহিদা আছে। এতটা সাড়া পাবেন ভেবেছিলেন?
প্রথমত, ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা একেবারেই ছিল না। কারণ, আমি একটা ছবি বানিয়েছি—এমন চিন্তা থেকে ছবিটি বানাইনি, যেখানে ব্যবসায়িক সফলতার ব্যাপারটা মাথায় ছিল। আমি আসলে আমার মতো করে আমার প্রথম ছবিটা বানিয়েছি। ‘হাওয়া’ ছবি বানানোর লেসনও বলতে পারি। আমি মনে করি, আমি যে সামনে ছবি বানাব, এটা তারই একটি প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন ধরে ভিজ্যুয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি নানান ফর্মে—আজ থেকে ১০-১২ বছর আগেও টেলিভিশন নাটক বানিয়েছিলাম। মাঝখানে লম্বা সময় বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়েছি। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছিলাম। ‘হাওয়া’ আমার প্রথম ছবি, নিজের জন্য শেখার জায়গা ছিল।
তাহলে আপনারা কি ভেবে ছবিটি বানিয়েছিলেন?
আমরা ভেবেছিলাম, নতুন গল্প বলার ভঙ্গিমাটা দর্শকের সামনে প্রকাশ করতে চাই। দর্শক কমার্শিয়াল যে ভঙ্গিমায় ছবি দেখেন, এর বাইরে যে গল্প এবং জীবনের গল্প থাকে, সিনেমায় আমরা সেটা হাজির করতে চেয়েছি। দর্শকের যে ব্যাপক আগ্রহ এবং ‘হাওয়া’ নিয়ে তাঁদের যে উচ্ছ্বাস, সেটা বরং আমাদের অনুপ্রাণিত করবে সামনে আরও নতুন ধরনের গল্প বলার। আমি বিশ্বাস করি, সামনে আরও যাঁরা নতুন সিনেমা বানাবেন, যেসব নির্মাতা নতুন গল্প নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে চান, তাঁদের জন্য এটা একটা সাহসের গল্প হবে। আমাদের নিজেদের জন্যও ‘হাওয়া’ একটা সাহসের গল্প। অনুপ্রেরণার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে ছবিটা বানিয়েছিলাম, তরুণেরা এই ছবি দেখবেন। কিন্তু এটা তরুণেরা তো দেখেছেনই, পাশাপাশি সব বয়সী মানুষ ‘হাওয়া’ ছবিকে বিশ্বাস করেছেন। তাঁদের ভালো লাগা তৈরি হয়েছে—সেটা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে সামনে নতুন ছবির জন্য, আমাদের সাহসী করে তুলেছে নতুন গল্প বলার জন্য।
(এই bunonnews.tv ওয়েভ-সাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বে-আইনি)
© 2025, বুনন নিউজ টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT