শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন এক শিক্ষক। ফাইল ছবি
দেশে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন ১৫ শিক্ষাবিদ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সরকারের কাছে এ আহ্বান জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে শিক্ষাবিদেরা বলেন, দেশের শিক্ষা পরিস্থিতি চরম সংকটে রয়েছে। করোনাকালে তা আরও মারাত্মক হয়েছে। এ সময়ে প্রায় সোয়া দুই লাখ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে যারা দুই বছর ‘অটো প্রমোশন’ পেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে উঠেছে, তাদের অধিকাংশই কোনো কিছু না শিখে উত্তীর্ণ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামাঞ্চলের শিশুরা।
শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অনেকেই শিক্ষক হওয়ার পরও ১০, ১২, ১৫ বা ২০ বছর ধরে এমপিওভুক্তির আশায় রয়েছেন। এমন শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। আবার এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকদের বেতনও কম। অবসরের পর অবসর ও কল্যাণ-সুবিধার টাকা পেতেও তিন থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সে জন্য এমপিওভুক্তদের নিয়োগ ও বেতনের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ কম থাকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ সালের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল বাজেটের ২০ দশমিক ১ শতাংশ। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছিল ২০ দশমিক ৪ শতাংশ। অথচ ১৯৭৫-এর পর থেকে তা ক্রমে কমে এসেছে। আবার প্রতিবছর সব টাকা খরচ না করে ফেরতও দেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করার দাবি জানান শিক্ষাবিদেরা। বলেন ‘আমরা শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের প্রতি অবহেলা ও অবমাননাকর অবস্থা দেখতে চাই না।’
বিবৃতি দেওয়া ১৫ শিক্ষাবিদ হলেন অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, যতীন সরকার, আ মু মুয়াজ্জাম হোসেন, তাজুল ইসলাম, আনু মুহাম্মদ, সাদেকা হালিম, এম এম আকাশ, কাবেরী গায়েন, বদিউর রহমান, এ এন রাশেদা, রোবায়েত ফেরদৌস, শরমিন্দ নীলোর্মি, অধ্যক্ষ আকমল হোসেন ও মো. জাহাংগীর।
(এই bunonnews.tv ওয়েভ-সাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বে-আইনি)
© 2025, বুনন নিউজ টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT