• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার, ২রা মে ২০২৫
  • - ৩৩° সে:
Language

অন্যান্য

কেন এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘টম অ্যান্ড জেরি’?

বুনন নিউজ

সোমবার, ২৯শে আগস্ট ২০২২

কেন এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘টম অ্যান্ড জেরি’?

বিনোদন কার না ভালো লাগে? তা যদি হয় আবার টেলিভিশনের পর্দায়। নীলাভ-ছাই রঙের একটি বিড়াল আর বাদামী রঙের একটি ইঁদুর যুগের পর যুগ ধরে দর্শককে হাসাচ্ছে। হ্যা ‘টম অ্যান্ড জেরি’র কথা বলছি।

বিশ্বসেরা এই কার্টুনের মূল কাহিনীই হলো বিড়াল এবং ইঁদুরের মধ্যে ঝগড়া। কখনো মিষ্টি, কখনও ঝাল আবার কখনও মনের ভালোবাসা মাখানো কাহিনী নিয়েই প্রায় ৮২ বছর ধরে চলে আসছে কার্টুন সিরিজটি।

‘টম অ্যান্ড জেরি’ একটি শর্ট কার্টুন সিরিজ। ১৯৩০ সালের দিকে আমেরিকান উইলিয়াম হানা এবং জোসেফ বারবেরার নামক দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা একটি ছবির কাজ শুরু করেন, যার নাম “পাস গেটস দ্য বুট”। ছবিটির প্রধান চরিত্র ছিল ইঁদুর-বিড়াল।

১৯৩১ সালে কার্টুনটির কাজ শুরু হলেও থিয়েটারে প্রদর্শিত হয় দীর্ঘ নয় বছর পর ১৯৪০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি। এরপর সিরিজটি বন্ধ করে দেয় এই দুই নির্মাতা। কিন্তু বন্ধের পর দেশটির অন্যান্য থিয়েটার পরিচালনাকারীরা ইঁদুর-বিড়াল নিয়ে আরও সিরিজ দিতে থাকেন।

একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস এন্ড সাইন্সেসের পক্ষ থেকে ১৯৪১ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট কার্টুন্স পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পায় উইলিয়াম হানা এবং জোসেফ বারবেরার নির্মিত ছবিটি।

সে সময় বিড়াল-ইঁদুরের সিরিজগুলো এত জনপ্রিয় হয়ে উঠে যে, বিপুল সংখ্যক বিড়াল ও ইঁদুর নিয়ে প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। সে প্রতিযোগিতায় বিড়ালদের মধ্যে লড়াই করে জয়ী হন টম নামের একটি বিড়াল। অন্যদিকে ইঁদুরদের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় জেরি নামে একটি ইঁদুর।

দর্শকের আরও চাহিদার উপর নির্ভর করে পরবর্তীতে ফ্রেড কুইম্বিলি নামক একজন নির্মাতা বিজয়ী টম এবং জেরির নাম দিয়ে তৈরি করেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ ‘টম অ্যান্ড জেরি’।

১৯৪১ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এ সিরিজের উপর মোট ১১৪ টি পর্ব বের করেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৬৩ টি পর্ব করা হয়েছে এই সিরিজের এবং প্রত্যেকটি পর্বই ব্যবসা সফল হয়েছে।

টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন হয়েও এটি অস্কার জিতেছে ৭ বার। সেই সাথে তাদের পুরস্কারের পাল্লায় যুক্ত করেছে ৬টি নমিনেশনও। সফল এ দুই নির্মাতার মধ্যে উইলিয়াম হানা ২০০১ সালে এবং জোসেফ বারবারা ২০০৬ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।