• ঢাকা
  • |
  • রবিবার, ২৫শে মে ২০২৫
  • - ৩৩° সে:
Language

জাতীয়

পি কে হালদারের সহযোগীর দুই মেয়ে গ্রেপ্তার

বুনন নিউজ

বুধবার, ২৪শে আগস্ট ২০২২

শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) অন্যতম সহযোগী মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। আজ বুধবার ভোরে তাঁদের রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭)।

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই নারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানান, বাবা খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় অবস্থান করেন শারমিন ও তানিয়া।

তাঁদের মধ্য শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা পিপলস লিজিংয়ের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাঁরা গত ২৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এবং আজ কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়।

গত মে মাসে পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদোপম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। সংস্থাটি পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের সম্পদের সন্ধানে গ্রেপ্তারের আগে ২ দিনে অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালায়। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে ভারতে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ পাচার এবং আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান, পরে কানাডায় পাড়ি জমান।

ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস, বেনামে সম্পত্তি কেনা এবং আইনবহির্ভূতভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা—এসব অভিযোগে পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থ পাচার আইনের ওপরে।